গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা ছিলো যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকার দলগুলোকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখায় সন্দেহ সংশয় তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, উপদেষ্টাদের নানামুখী বক্তব্য, পেছন থেকে নতুন দল গঠনের সহযোগিতা, সেই দলের আবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চাওয়া এবং সরকারের সকল সেক্টরে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসন করা, আওয়ামী তালিকার ডিসি-এসপি নিয়োগ, আওয়ামী হাইকমান্ডের কাউকে গ্রেফতার না করা, শেখ পরিবারকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি মানুষকে হতাশ করেছে।
সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে বিএনপির উপর দায় চাপাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট কথা, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো। গণহত্যার বিচার যদি সরকার করবে, তাহলে কেন আওয়ামী লীগ ধরতে অভিযান না চালিয়ে বরং পালিয়ে যেতে সহায়তা করলো? ওবায়দুল কাদের কীভাবে পালালো, তার কোনো তদন্ত হবে? আপনি একদিকে তাদের ধরবেন না, আবার গণহত্যার বিচারের গান শুনাবেন! এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার হয়না। সাহস থাকলে আগে আ.লীগকে ধরুন, তাদের নিষিদ্ধ করুন। কিন্তু আপনারা সেসব না করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠনেই বেশি সময় দিচ্ছেন।এখনো কেন শহীদের তালিকা হলো না, পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ পেলো না, আহতরা কেন সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ পেলো না? আপনারা আসলে কি করতে চাচ্ছেন, ক্লিয়ার করুন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির সাথে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন রাশেদ।
বৈঠকে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৪ মাসের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়েও আলোচনা করে দুই পক্ষ।
বৈঠকে রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। অন্যরা হলেন- উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান, আরিফ তালুকদার, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান খান, মানবাধিকার সম্পাদক এ্যাড. খালিদ হাসান, যুব অধিকার পরিষদ সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। অপরদিকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
Leave a Reply