1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

ইউটিউব দেখে সোনাপাচারের কৌশল শেখেন রানিয়া

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ১১ Time View

দুবাই থেকে ১২ কোটি টাকার সোনাপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও প্রথম দিকে নিজেকে ব্ল্যাকমেইল করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একেবারে শেষ মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করে রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, ডিআরআই)। রানিয়া রাও দাবি করেছেন, তাকে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে সোনাপাচার করানো হচ্ছিল।

বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ডিআরআই হেফাজতে রয়েছেন রানিয়া রাও। সেখানেই গোয়েন্দারা তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অভিনেত্রীর দাবি, প্রথমবার তিনি সোনাপাচার করছিলেন। সোনাপাচার মামলায় আবার বয়ান বদলালেন কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও। গ্রেফতারির নথি অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছিলেন, অতীতেও দুবার একই ভাবে দুবাই থেকে সোনা এনেছিলেন। কিন্তু এবার অভিনেত্রী গোয়েন্দাদের জানান, ৩ মার্চই প্রথমবার সোনাপাচার করার চেষ্টা করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, সোনাপাচারের কৌশল তিনি কীভাবে শিখেছেন, তা-ও গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিনেত্রী বলেন,  গত ১ মার্চ আমি একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাই। সপ্তাহ দুই ধরে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। আমাকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল গেটে যেতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। তিনি বলেন, এই প্রথমবার আমি দুবাই থেকে সোনাপাচার করেছিলাম।

কীভাবে সোনাপাচার করবেন, তা শিখেছেন ইউটিউবের ভিডিও দেখে— গোয়েন্দাদের কাছে এমনই দাবি করে রানিয়া রাও বলেন, সোনাপাচারের কৌশল ইউটিউব দেখে শিখেছি। সোনার বারগুলো দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়া ছিল। সেই সোনা নিয়ে বিমানবন্দরের বাথরুমে ঢুকে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে নিই। এমনকি জুতার মধ্যেও সোনার বার লুকিয়ে ফেলি।

কে ফোন করে সোনাপাচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা জানেন না বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন রানিয়া রাও। অভিনেত্রী বলেন, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই কে আমাকে ফোন করেছিলেন। যিনি বিমানবন্দরে সোনা দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে, তার উচ্চতা ছয় ফুটের কাছাকাছি। অতীতে তাকে কোনো দিন দেখেননি বলেই দাবি রানিয়ার।

এদিকে এ ঘটনার কথা জানার পরেই অভিনেত্রীর বাবা কন্নড় আইপিএস অফিসার ড. কে রামচন্দ্র রাও দাবি করে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো রকমের যোগ নেই। মাস চারেক আগে রানিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে। তার পর থেকে মেয়ের সঙ্গে তাদের আর কোনো যোগাযোগ নেই।

রামচন্দ্র আরও বলেন, মেয়ে কিংবা তার স্বামী কী ব্যবসা করেন, সেই সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। যা ঘটেছে, তা আমাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। আমরা খুবই হতাশ। তবে আইন আইনের পথেই চলবে।

পুলিশের দাবি, অভিনেত্রী তার স্বামী যতীনের সঙ্গে প্রায়ই দুবাই যান। তবে তা কোনো ব্যবসায়িক বা পারিবারিক কারণ নয়, এই সোনাপাচারের জন্যই। তদন্তে দেখা গেছে যে, বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশি এড়াতে রানিয়া সবসময়েই পুলিশের সাহায্য পেতেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ রানিয়া রাওকে গ্রেফতারের পর লাভেল রোডের নন্দওয়ানি ম্যানশনে তার বাসভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তল্লাশিতে ২.৬৭ কোটি রুপি ও ২.০৬ কোটি মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযানের পর কর্মকর্তারা তার বাড়ি থেকে তিনটি বড় বাক্স উদ্ধার করেন। মোট বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য ১৭.২৯ কোটি রুপি।

দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামার পর রানিয়া পুলিশ কনস্টেবল বাসবরাজুর সাহায্যে নিরাপত্তা তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এদিকে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আগে থেকেই খবর ছিল ডিআরআইয়ের কাছে। ফলে অভিনেত্রীকে সোনাসহ হাতেনাতে ধরে ফেলা সম্ভব হয়। তল্লাশি করার সময় রানিয়ার জ্যাকেটের ভেতরে ১২.৫৬ কোটি রুপি মূল্যের ১৪.২ কেজি বিদেশি সোনা পাওয়া যায়। গ্রেফতারের পরে অভিনেত্রীকে বিশদ তদন্তের জন্য নাগাভারায় ডিআরআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট