ভারতের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এ আর রাহমানের সঙ্গে সায়রা বানুর ২৯ বছরের সংসার জীবন শেষ হয়েছে। তারপর থেকে নানান সমালোচনা হচ্ছে। তাতে রাশ টানতে আইনি নোটিশও দিয়েছেন রাহমান। কিন্তু রটনার শেষ নেই। এবার গুঞ্জন উঠেছে— বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই কাজ থেকে বিরতি নিচ্ছেন সুরকার। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাহমানকন্যা খাতিজা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআর রহমানের পোস্ট শেয়ার করে জানানো হয়েছে— এআর রহমান সংগীত জগতের কাজ থেকে এক বছরের বিরতি নিচ্ছেন। তার সুরের জাদু মিস করবেন বলেও জানান নেটিজেনরা। এতেই ক্ষিপ্ত হন খাতিজা। পোস্টটি শেয়ার করে রাহমানকন্যা লিখেছেন— দয়া করে এ ধরনের আজেবাজে গুজব ছড়াবেন না।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে এআর রাহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এ বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন— তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে তারা। ধুমধাম করে খাতিজার বিয়ে দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী। ২০ নভেম্বরের শুরুতে রহমান যখন ডিভোর্স ঘোষণা করেন, ঠিক তার পরই তার সহশিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা রটনা রটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সেই সময় রহমানের বড়কন্যা রহিমা নিন্দুকদের একহাত নিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন— সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায়, যারা হিংসা করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়া খবরগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি— নিজের চরকায় তেল দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে মোহিনীও তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি বলেন, রহমান তার বাবার মতো।
রহমান নিজেও আইনি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। কয়েক পাতার সেই নোটিশের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়— রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন, তারা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলেন, তা না হলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১