1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
Title :
সিট ৪৬০, ঢোকানো হয়েছে সাড়ে ৬০০’র বেশি দর্শক—ক্ষুব্ধ বরবাদ প্রযোজক রাতে ঘরে মিলল স্ত্রীর মরদেহ, দুপুরে স্বামীর মা নিজেই বঁটি দিয়ে দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন : পুলিশ বিসিবিতে দুদকের সেই অভিযান নিয়ে যা বললেন ফারুক ‘ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা সহ্য করলে পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধাতেন পুরুষরা’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিথ্যা মামলায় হয়রানি না করার নির্দেশ পুলিশকে দেওয়া আছে ‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে ফুটবল টুর্নামেন্ট নিকারাগুয়ায় বিরোধীদের দমন-পীড়ন ২৫০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে হতাশ করে জয়ের দিকে এগুচ্ছে পাকিস্তান

চলছে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র ♦ কথায় কথায় রাস্তা অবরোধ ভাঙচুর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিল্পকারখানায় হামলা আগুন ♦ নানাভাবে চাপে রাখা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
প্রতীকী ছবি

দেশ ও অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে চলছে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র। কথা নেই, বলা নেই হঠাৎ উৎকণ্ঠার ছাপ এসে ভর করেছে সাধারণ মানুষের জীবনে। কখন কোথায় কী ঘটবে তা জানা নেই কারও। ছোটখাটো ঘটনা নিয়েই তৈরি হচ্ছে সংঘাত কিংবা সহিংসতা। দাবি আদায়ের মতো স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠছে সহিংস। ঢাকা অচল করে দেওয়ার ভয়াবহ চেষ্টাও করা হয়। কোনোভাবেই অস্বাভাবিক এসব ঘটনার লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। কথায় কথায় রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের মতো নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চলছেই। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ওপর সৃষ্টি করা হচ্ছে নানা চাপ। সে কারণে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ। ব্যবসায়িক এলসি করতে না পারায় সময়মতো নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারে। এ যেন কারও কিছু করার নেই, দেখার নেই। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন একটাই প্রশ্ন, আসলে হচ্ছেটা কী?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারকে ব্যর্থ করতে আওয়ামী লীগের আত্মগোপনে থাকা নেতারা সক্রিয় হয়ে উঠছেন। তাদের টার্গেট একটাই- এ সরকারকে যে কোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দেওয়া। সারা দেশে যেভাবে সহিংস ঘটনা ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করে পুলিশ রীতিমতো অসহায়। পুলিশের মধ্যে যে ট্রমা তৈরি হয়েছিল, তা এখনো কাটেনি। সে কারণে পুলিশের পক্ষে কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী না পৌঁছা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো পতিত সরকারের সুবিধাভোগীরা বসে আছেন। উপদেষ্টাদের মধ্যেও কেউ কেউ আছেন যিনি শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত চাকর ছিলেন।

৫ আগস্টের পর একটি মহলের ষড়যন্ত্র দিন দিন বাড়ছে। সে কারণে যে কোনো ইস্যু নিয়েই হচ্ছে আন্দোলন। কখনো আনসার, কখনো রিকশাচালক, কখনো গার্মেন্ট শ্রমিক আবার কখনো চাকরিতে ৩৫ বয়স প্রত্যাশীরা রাস্তায় নেমে পড়ছেন। সে ঘটনা রূপ নিচ্ছে সংঘাতে। ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজকে ঘিরে রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া এলাকা। আগের দিন পুরান ঢাকা হয় রণক্ষেত্র। হামলা চালানো হয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে। এর আগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। তারা ট্রেন থামিয়ে হামলা চালান। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। দলের শীর্ষ মহল থেকে মাঠপর্যায়ের অপরিচিত নেতা-কর্মীদের এসব ধ্বংসাত্মক কাজে অংশ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অক্টোবরে এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন, যার অধিকাংশই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। যদিও শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কথা কাটাকাটির দাবি করলেও এ ঘটনার নেপথ্যেও ছিল আইডিয়ালের এক মেয়ে শিক্ষার্থীর হেনস্তার বিষয়। এতে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসে হামলা চালান। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজে পাল্টা হামলা করে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যান। মাত্র এক দিন আগে বুটেক্সের আজিজ হল ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

কয়েক দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও মালিকরা বিভিন্ন দাবি আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে যান তারা। পরে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে গণ অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। সর্বশেষ ঢাকা অচল করে দেওয়ার ভয়াবহ চেষ্টাও করা হয়। গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার পর সারা দেশ থেকে বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে প্রলোভনে পড়া সাধারণ মানুষ শাহবাগে এসে জড়ো হতে শুরুও করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনার নেপথ্য কাহিনি উন্মোচন করায় ভেস্তে যায় ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের চেষ্টা।

সূত্রগুলোর মতে, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করতে একটি মহল ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। যেসব ব্যবসায়ী দেশে বিনিয়োগ করেছেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক কাজে ব্যাংকের এলসি দেওয়া হচ্ছে না ইত্যাদি নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দ্রব্যমূল্যের ওপর। যে কারণে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অন্যদিকে যেসব ব্যবসায়ী দেশে কোনো বিনিয়োগ না করে ব্যাংক লুট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তারা সুবিধামতো সময়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে নিরাপদে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।

গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। রচিত হয় এক নতুন বাংলাদেশ। তবে এর কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন দাবি আদায়ের আন্দোলনের নামে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন আন্দোলনকারীরা। দেশের সচেতন মহল মনে করেন, যেভাবে দিন দিন সহিংস ঘটনা ঘটছে, তাতে দেশ ও সরকারবিরোধী চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রেরই গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট