পরকীয়ার জেরে আড়াই বছরের শিশুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর কেরানীগঞ্জে হত্যার পর মরদেহ মাদারীপুরে দাফনের জন্য নিয়ে গেলে বেরিয়ে আসে ঘটনার রহস্য।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মা শারমিন আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু ইমতিয়াজের মরদেহ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী দবির বেপারীর স্ত্রী শারমিন আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে চাচাশ্বশুর আমির বেপারীর সঙ্গে। এক মাস আগে দবিরকে ডিভোর্স দিয়ে ছোট ছেলে ইমতিয়াজকে নিয়ে আমিরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় বসবাস শুরু করেন শারমিন।
সোমবার রাত ১টার দিকে ইমতিয়াজের মরদেহ দাফনের জন্য মাদারীপুরে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর শুরু হয় হট্টগোল। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মা শারমিন আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ- পরকীয়ার জেরে আড়াই বছরের শিশুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শেখ সাব্বির হোসেন জানান, শিশুটির মরদেহ রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে মাদারীপুরে নিয়ে আসার পর ঘটনা জানাজানি হয়। স্বজনদের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করছে। পরকীয়ার অভিযোগ থাকায় অভিযুক্ত মা শারমিন আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply