বিজ্ঞাপন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের সব সেক্টর থেকে ফ্যাসিস্টদের সরানোর দাবি উঠেছে। অনেক জায়গায় রদবদলও এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দীর্ঘদিন একচ্ছত্র টেন্ডারবাজি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ এখনও আওয়ামী লীগের দোসরদের দখলে। সিন্ডিকেট করে বই ছাপার কাজ এখনও নিজেদের কবজায় রেখেছেন তারা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ভাই রাব্বানী জব্বার একাই পেয়েছেন এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপার কাজ।
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, আগামী শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট এক কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৯টি বই ছাপার কাজ পেয়েছে রাব্বানী জব্বারের দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ১৯টি লটে এক কোটি ৩০ হাজার বই, বাকিগুলো প্রাথমিকের। ‘আনন্দ’ ও ‘এপেক্স’— এ দুটি প্রেস দিয়ে তিনি এ কাজ পেয়েছেন। গত ৫ আগস্টের পর সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের এত সংখ্যক বই ছাপার কাজ পাওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সরকারি এ কাজের সঙ্গে যুক্তরা। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে সরকারি দুটি গোয়েন্দা সংস্থাও।
প্রতিষ্ঠানটির পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ এখনও আওয়ামী লীগের দোসরদের দখলে। সিন্ডিকেট করে বই ছাপার কাজ এখনও নিজেদের কবজায় রেখেছেন তারা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ভাই রাব্বানী জব্বার একাই পেয়েছেন এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপার কাজ
অভিযোগ উঠেছে, দরপত্র নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি’র নাকের ডগায় এসব কাজ হলেও প্রতিষ্ঠানটি ছিল নিধিরাম সর্দার। শুধু তা-ই নয়, নবম শ্রেণির বইয়ের ২৮ ও ৩২নং দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা সরকার অফসেট প্রেসকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতা আনন্দ প্রিন্টার্স ও দিগন্তকে কাজ দিয়েছে এনসিটিবি। প্রতিবারের মতো এবারও ফাঁস হয় প্রাক্কলিত দর। সেই দর জেনে এবারও কোন প্রেস কত বই ছাপার কাজ পাবে, কে কোন লটে কত দর দেবে, তা আগেই ভাগবাটোয়ারা হয়ে যায়। মূলত এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিলেন রাব্বানী জব্বার, মোল্লা প্রিন্টিং প্রেসের মালিকসহ কয়েকজন। এনসিটিবি সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো সরকারের ৭৮৩ কোটি টাকা বাড়তি খরচের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, রাব্বানী জব্বার আনন্দ প্রিন্টার্স লিমিটেডের মালিক এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই। এ ছাড়া তিনি ২০২১ সালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি কীভাবে এ কাজ পেলেন— জানতে চাইলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘তিনি সব শর্ত পূরণ করেই কাজ পেয়েছেন। সরকারি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) মেনেই তাকে কাজ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক মন্ত্রীর ভাই, এটি জানতেন কি না। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জানলেও আইনগতভাবে আমাদের কিছুই করার নেই।’
দরপত্র নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি’র নাকের ডগায় এসব কাজ হলেও প্রতিষ্ঠানটি ছিল নিধিরাম সর্দার। শুধু তা-ই নয়, নবম শ্রেণির বইয়ের ২৮ ও ৩২নং দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা সরকার অফসেট প্রেসকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতা আনন্দ প্রিন্টার্স ও দিগন্তকে কাজ দিয়েছে এনসিটিবি। প্রতিবারের মতো এবারও ফাঁস হয় প্রাক্কলিত দর। সেই দর জেনে এবারও কোন প্রেস কত বই ছাপার কাজ পাবে, কে কোন লটে কত দর দেবে, তা আগেই ভাগবাটোয়ারা হয়ে যায়। মূলত এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিলেন রাব্বানী জব্বার, মোল্লা প্রিন্টিং প্রেসের মালিকসহ কয়েকজন
একই জবাব মেলে বই ছাপার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ও এনসিটিবি সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরীর কাছ থেকে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া মেনে তিনি কাজ পেলে সমস্যা তো দেখছি না।’ ৫ আগস্টের চেতনার সঙ্গে এটি যায় কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমি বলতে পারব না।’
অন্যদিকে দরপত্রের সঙ্গে যুক্তরা জানান, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলেও তিনি (রাব্বানী জব্বার) এত কাজ পাননি। রেকর্ড বলছে, গত তিন বছরে তার দুটি প্রেস গড়ে ৪০ লাখ বই ছাপার কাজ পায়। এবার সব রেকর্ড ভেঙ্গে পেয়েছেন এক কোটি ৩৩ লাখ বই ছাপার কাজ। আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলেও তিনি আছেন বহাল তবিয়তে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাব্বানী জব্বার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সরকারি সব বিধি মেনে আমি কাজ পেয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো অন্যায় করেছি কি না, সেটি-ই মুখ্য বিষয়।’
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রীর ভাই জানার পরও এনসিটিবি’র কর্তাব্যক্তিরা ছিলেন নীরব। শুধু তা-ই নয়, মুদ্রণ শিল্প সমিতির কিছু নেতার প্রশ্রয়ে তিনি কাজ করার সাহস পেয়েছেন। যদিও সমিতির কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। মুদ্রণ সমিতির সাবেক এক নেতা বলেন, শুধু রাব্বানী জব্বার নন, এ সেক্টরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বেশ কয়েকজন। গড়ে দেড় থেকে তিন কোটি বইয়ের কাজ পেয়েছেন তারা। কাজ পাওয়া শীর্ষ পাঁচজনের মধ্যে চারজনই বিগত সরকারের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ঘনিষ্ঠতা ছিল। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন— এমন তিনজনও চলতি বছর বই ছাপার কাজ পেয়েছেন।
রাব্বানী জব্বার আনন্দ প্রিন্টার্স লিমিটেডের মালিক এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই। এ ছাড়া তিনি ২০২১ সালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন
তাদের মন্তব্য, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক এক মন্ত্রীর ভাইকে যেখানে পালিয়ে থাকার কথা, সেখানে তিনি বিনামূল্যে পাঠ্যবই ছাপার কাজ করছেন সরকারি মদদে। সচিবালয়, এনসিটিবি এমনকি সরকারি অফিসে যাচ্ছেন, প্রকাশ্যে দরপত্র দিয়ে কাজ নিচ্ছেন। এটি জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে বেইমানি।
জানা যায়, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে মতিঝিলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে বইয়ের কাগজের সংকটসহ নানা ইস্যুতে কথা বলতে দেখা যায় রাব্বানী জব্বারকে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করতে তাকে কোথাও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। সর্বশেষ তিনি সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বই ছাপার তদারকির দায়িত্বে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বই ছাপার সঙ্গে যুক্তরা সিন্ডিকেট করে প্রতি বছর কাজ নেয়। সেখানে তারা দলীয় ছত্রছায়ার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেন। মন্ত্রীর ভাইয়ের কাজ পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে খেয়াল রাখব।’
কোন শ্রেণির কত বই ছাপার কাজ পেলেন রাব্বানী জব্বার
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর মাধ্যমিক স্তরের ১৯টি লটে এক কোটি তিন লাখের বেশি বই ছাপার কাজ পেয়েছেন মোস্তাফা জব্বারের ভাই রাব্বানী জব্বার। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে আনন্দ প্রিন্টার্সের মাধ্যমে চার লটে ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ বই, অষ্টম শ্রেণিতে তিন লটে ২০ লাখ ২২ হাজার ১৫৭ বই, নবম শ্রেণিতে পাঁচ লটে ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪ বই, দশম শ্রেণির তিন লটে ১৭ লাখ ১৯ হাজার ১৭২ বই ছাপার কাজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, তারই মালিকানাধীন আরেকটি প্রেস এপেক্স প্রিন্টার্সের মাধ্যমে সপ্তম শ্রেণিতে চার লটে ২২ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ বই ছাপার কাজ পেয়েছেন।
এ ছাড়া প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির দুই লটে (৪৯, ৫০) আনন্দ প্রিন্টার্সের মাধ্যমে পেয়েছেন নয় লাখ ৬৭ হাজার ১১২ বই, একই শ্রেণিতে ৪০নং লটে এপেক্স প্রিন্টার্সের মাধ্যমে পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৪১১ বই ছাপার কাজ। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৪৩, ৫১, ৫৯, ৬০নং লটে এপেক্স প্রিন্টার্সের মাধ্যমে ১৫ লাখ ছয় হাজার ৭০৩ বই ছাপার কাজ পেয়েছেন।
ভুল বই গেলে দায় নেবে কে
এনসিটিবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকের বাংলা বইয়ে ‘জাতীয় সংগীত ও পতাকা’র অবস্থান নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমার বাংলা বইয়ের শেষপাতায় জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ছবি রাখা হয়েছে। নতুন এই বিতর্কের মধ্যে সাবেক ফ্যাসিবাদ সরকারের মন্ত্রীর ভাই পাঠ্যবই নিয়ে যদি নতুন কোনো বিতর্ক উসকে দেন, তখন এর দায় কে নেবে? এ বিষয়ে এনসিটিবি’র এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এনসিটিবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা পাত্তা দেননি!’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান ও সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরাও এ বিষয়ে সতর্ক আছি। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সরকারি কলেজের ১৫০ জন শিক্ষক, এনসিটিবিসহ শিক্ষাপ্রশাসনের সমন্বয়ে একটি তদারকি টিম কাজ করছে।’
তবে, রিয়াদ চৌধুরীর এমন যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে এনসিটিবি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলন, ‘তাদের কাজ না দিলেই তো হতো। এখন সেখানে শত শত কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করা হয়েছে। এটার কোনো যুক্তি নেই।’
নানা অনিয়ম, শুরুতেই শোকজ
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির দুই লটে (৪৯ ও ৫০) বই ছাপার কাজে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার এবং নানা অনিয়ম করায় শুরুতেই জরিমানার মুখে পড়েছে রাব্বানী জব্বারে মালিকানাধীন আনন্দ প্রিন্টার্স। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বিনোদপুরে তার ছাপাখানা। বই ছাপার কাজ শুরুর পর এনসিটিবি’র পরিদর্শন টিম সেখানে গিয়ে নানা অনিয়ম পান। গত ২১ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় এনসিটিবি। নোটিশের কপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়।
শোকজ নোটিশের উল্লেখ করা হয়, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বিনোদপুরে আনন্দ প্রিন্টার্স লিমিটেডের ছাপাখানায় গত ১৯ নভেম্বর সরেজমিনে পরিদর্শনে যান এনসিটিবি টিমের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে বাঁধাই করা ২০ হাজার বইয়ে নানা অনিয়ম ও ত্রুটি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১০ হাজার বইয়ের কাটিং নিয়ে সমস্যা ছিল। বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো এলোমেলো হয়ে বেরিয়ে ছিল। দুটি পৃষ্ঠা পুরোপুরি বেরিয়ে ছিল, অর্থাৎ খোলা।
নোটিশ পাওয়ার পর পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বইয়ের এসব ত্রুটি ও অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। জবাব সন্তোষজনক না হলে টেন্ডারের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়ে দেয় এনসিটিবি।
অভিযোগ রয়েছে, শুধু নোটিশ দিয়েই দায় সারে এনসিটিবি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
Leave a Reply