নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ তিন সিনিয়র কূটনীতিককে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাম্পের ওই সহযোগীরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্শা বার্নিকাট ছাড়া বাকি দুই সিনিয়র কূটনীতিক হলেন- ডেরেক হোগান ও আলেইনা তেপলিৎজ।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর কূটনৈতিক বহরে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে তিন সিনিয়র কূটনীতিককে নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম পদত্যাগ করতে বলাটা সেটারই ইঙ্গিত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে সচরাচর যেমনটা দেখা যায়, তা হলো- প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত নিজেদের দায়িত্ব চালিয়ে যান। এখন যে তিন সিনিয়র কূটনীতিককে পদ ছাড়তে বলা হয়েছে, তারা ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান—উভয় প্রশাসনে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উদ্বেগের বিষয় হলো- এটা আরও বড় ধরনের খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণ–সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী দলের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের জাতি ও আমেরিকার কর্মজীবী নারী–পুরুষকে প্রথমে রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করেন, এমন কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে অন্তর্বর্তী দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করাটা খুবই স্বাভাবিক।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে যেতে হবে। আর এ জন্য একই লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগ রয়েছে- এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি দল দরকার।’
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে নিজস্ব কোনো ঘোষণা দেবে না মন্ত্রণালয়।
এদিকে পদত্যাগ করতে বলা তিন সিনিয়র কূটনীতিকের কেউই তাদের প্রুতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধে সাড়া দেননি বলেই জানিয়েছে রয়টার্স।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১