সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাদীর আইনজীবী খান মোহাম্মদ মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে গতকাল (১ ডিসেম্বর) মামলার আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে আগামী ১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ কোর্ট ফি দাখিল সংক্রান্ত শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।’’মামলার অপর বিবাদীরা হলেন—ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নান মুন্না, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, মাওলানা নুরুল ইসলাম অলিপুরী, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, লোকমান মাজহারী ও মুফতি জাফর আহমেদ।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ নভেম্বর বিবাদীরাসহ কতিপয় আলেম শাহবাগ থানাধীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে সাধারণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে বাদীর প্রাণপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা সাদ কান্ধলভির সুনামহানির অপচেষ্টায় বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর, অপমানজনক ও কুৎসাজনক বক্তব্য প্রচার করেন। বিবাদী ছাড়াও অন্যরা কোনোরূপ তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মনগড়া, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য দেন এই উদ্দেশ্যে যে, যেন মাওলানা সাদ কান্ধলভি একজন কাদিয়ানী বা তথাকথিত মুসলিম হিসেবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে প্রচার পান এবং মাওলানা সাদের অনুসারীদের বলা হয়, কাফের, জারজ সন্তান, মুর্তাদ; সাদের অনুসারী হওয়ায় তারা সবাই স্ত্রী থেকে তালাকপ্রাপ্ত। এই বিবাদীরা সর্বদা এহেন উদ্দেশ্যমূলক কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এবং নিরীহ জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়ে তাদের এহেন চক্রান্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে সারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার মাধ্যমে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, বিবাদীদের এহেন অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ নিরীহ সাধারণ মানুষ তাদের এমন চক্রান্ত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এরূপ মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য পরের দিন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার পাওয়ায় মাওলানা সাদের অনুসারীরা অত্যন্ত মর্মাহত ও মানসিকভাবে ভীষণ আঘাতপ্রাপ্ত হন। বিবাদীদের উদ্দেশ্যমূলক কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকৃতপক্ষে তাদের মনগড়া এবং উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদকে দেশে-বিদেশে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ সত্য ও ন্যায়ানুগ ইসলামী বিধি-বিধান প্রচারে বাধা দেওয়ার অপকৌশল।