স্বাধীন সময় ডেস্কঃ পছন্দের নারীর মন পাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। কারণ নারী মানেই বৈচিত্র্য। একজন নারীর মন জয় করতে যা লাগে তা নির্ভর পুরুষের সবচেয়ে ভালো কাজের উপর। কিসে তাদের খুশি আর কিসে তাদের কষ্ট, এইটাই ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেন না বেশিরভাগ পুরুষ।
তাইতো নিজের অজান্তেই নারীদের মনে কষ্ট দিয়ে বসেন অনেক পুরুষ। আবার নারীদের মন ঠিকভাবে না বুঝতে পারার কারণে তাদের মন জয় করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
নারীদের মন জয় করা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। সবকিছুরই উপায় আছে। ঠিক তেমনি নারীদের মন জয় করারও রয়েছে কিছু কৌশল। কয়েকটি নিয়ম বা কৌশল মেনে চললে আপনিও পারবেন নারীদের মন জিতে নিতে। এমনই পাঁচটি টিপস যা আপনার কাজে আসবে।
সহজ ৫ কৌশল
১. পরিকল্পনাই শেষ কথাঃ যেকোনো কাজে সফল হতে গেলে পরিকল্পনা করা দরকার। আর এই আপ্তবাক্য তো প্রেমের মতো জটিল রসায়ন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ খাঁটি। তাই কোনও নারীকে পছন্দ হলে তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগার করার কাজে নেমে পড়তে হবে। কোথায় থাকেন, কাদের সঙ্গে মেশেন, কী খেতে পছন্দ করেন, কারও সঙ্গে ইতিমধ্যেই সম্পর্ক রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনার নখদর্পনে থাকা চাই। এই তথ্যগুলো হাতে আসার পর একটা পরিকল্পনা সেরে নেওয়া খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে কীভাবে তার সঙ্গে আলাপ করবেন, কীভাবে কথা বলবেন, কী কী কথা বলবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো একে একে সাজিয়ে ফেলুন। এতেই দেখবেন ভালোবাসার অচেনা রাস্তায় হাঁটতে সুবিধা হবে।
২. ফ্যাশন ট্রেন্ড মেনে চললেই হাতেনাতে মিলবে ফলঃ কথায় আছে, প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারি। তাই নিজের ভালো চাইলে, অদ্ভুত সাজ সেজে পছন্দের নারীর সঙ্গে আলাপ করতে চলে যাবেন না। বরং মনের মানুষের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরার চেষ্টা করুন। আর এখানেই কাজে আসবে আপনার ‘রেকি’। আপনি নিশ্চয়ই খোঁজ নিয়ে ফেলেছেন যে আপনার পছন্দের নারী ওয়েস্টার্ন না ইন্ডিয়ান ড্রেস পছন্দ করেন। এবার সেই তথ্যকে কাজে লাগানোর পালা। এক্ষেত্রে তার পছন্দ মতোই নিজেকে সাজিয়ে তুলতে হবে। এতেই দেখবেন তার নজর সরাসরি গিয়ে পড়েছে আপনারই দিকে।
৩. লজ্জা ছাড়িয়ে আলাপ জমানঃঅনেকেই নারীদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পান। আর এটাই তাদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে অন্তরায়। তাই এই ভুল আর করলে চলবে না। বরং এক বুক শ্বাস নিয়ে মন শান্ত করুন। তারপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার সঙ্গে আলাপ জমান। নিজের পরিচয় দিন। এটাই হল আপনার প্রথম কাজ। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই কাজটা সেরে ফেলুন। নইলে যে প্রেমের গাড়ি এগতেই পারবে না।
৪. কফি ডেটে যেতে হবেঃ প্রথম সাক্ষাতের পর আর সময় নষ্ট করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় সাক্ষাতের অজুহাত খুঁজতে হবে। আর কোনও ক্রমে তার দেখা পাওয়া সম্ভব হলেই কফি খাওয়ার কথা তুলতে ভুলবেন না যেন! আশা করছি একসঙ্গে বসে কফি খেতে মানা করবেন না পছন্দের নারী। এরপর কাছের কোনও কফি শপে বসে পড়ুন। ঝটপট খাবার অর্ডার করে ফেলুন। আর খাবার যতক্ষণ না আসে ততক্ষণ নিজের এবং পরিবার সম্পর্কে একটা ছোটখাট ইন্ট্রো দিন। তবে শুধু নিজে কথা বলে গেলেই হবে না। বরং প্রিয়তমার বিষয়েও জানারা চেষ্টা করুন। এই কথপোকথনের মাধ্যমেই কথা আগাবে।
৫. অপেক্ষা নয়ঃএভাবে দুই তিন দিন কথা বলার পর আর দেরি করা চলবে না। বরং একটা গোলাপ আর ডার্ক চকলেট কিনে তার সঙ্গে দেখা করতে চলে যান। তারপর মনের কথা ঢেকে না রেখে সরাসরি বলে দিন। একটু রোম্যান্টিক অবতারে প্রোপোজটা সেরে ফেলুন। প্রয়োজনে প্রোপোজ করার আগে শাহরুখ খানের দুই-তিনটে ফিল্ম দেখে নিন। কিং খানের দেখানো কৌশলে প্রোপজটা সেরে ফেলতে পারলে আর প্রিয়তমা ‘না’ করতে পারবেন না। আর আপনার মিশনও হয়ে যাবে কমপ্লিট।
Leave a Reply