অ্যাডলফ হিটলার মারা গেছেন আট দশক পেরিয়ে গেছে কিন্তু তাকে নিয়ে এখনো কৌতূহলের অন্ত নেই। সেই কৌতূহলের পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার ব্রিটিশ বান্ধবী ইউনিটি মিটফোর্ডের একটি ডায়েরি, এতে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কেমন ছিলেন নাৎসি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক?
ইউনিটির লেখা ডায়েরিতে অ্যাডলফ হিটলার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ও খুব মিষ্টি এবং সমকামী।’
তিনের দশকে হিটলারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল ইউনিটির। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে তার ডায়েরি। তা বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই ডায়েরি পাতায় পাতায় বর্ণনা রয়েছে হিটলারের সঙ্গে তার সম্পর্ক।
ইউনিটি জানিয়েছেন, হিটলারের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তিনি উন্মুখ ছিলেন। ডায়েরি পাতায় তাকে বারবার লিখতে দেখা গেছে, হিটলার ছিলেন খুব মিষ্টি এবং সমকামী। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত দুজনের মধ্যে ১৩৯ বার দেখা হয়েছিল। প্রথম দেখা থেকেই তিনি প্রেমে পড়ে যান হিটলারের।
বলা হয়, ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে তার মতো করে কেউই হিটলারের এতটা কাছে আসতে পারেননি।
ডায়েরি পাতায় শেষ এন্ট্রি ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর। সেদিনই জার্মানি পোল্যান্ড দখল করে। দু-দিন পরে যুদ্ধ ঘোষণা হয়ে যায়। হিটলারের ‘প্রেমিকা’ আবিষ্কার করেন, তার প্রিয় দেশ জার্মানি ও মাতৃভূমি ব্রিটেন পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। এই আঘাত সইতে না পেরে নিজের মাথাতেই গুলি করেন ইউনিটি কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হন। তবে বাম মস্তিষ্ক ভয়ংকর জখম হয়। একটি বুলেট আটকে ছিল খুলির ভেতর। তিনি ব্রিটেনে ফিরে আসেন। সেখানেই ১৯৪৮ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এত বছর পর হারিয়ে যাওয়া সেই ডায়েরি প্রত্যাবর্তন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, হিটলার ব্যক্তিগতভাবে কেমন মানুষ ছিলেন, সে সম্পর্কে নতুন করে আলো ফেলবে ইউনিটির এই দিনলিপি।
সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল, এই ডায়েরি সত্যি কিনা তা নিয়ে। তবে ডায়েরি পাতা, কালি ও ইউনিটির হাতের লেখা খুঁটিয়ে দেখে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, এই ডায়েরিটি সত্যি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১