রাজধানীর মিরপুরে একটি মার্কেট দখলের চেষ্টা করেছেন বেশ কয়েকজন। যার মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু বিএনপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় হয়েছে মামলাও। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে, যিনি কি না বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি মিরপুর ১ নম্বর স্বাধীন বাংলা মার্কেটের। সোমবার ওই মার্কেটের ম্যানেজার ১৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় ওই মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই মার্কেটের ম্যানেজার তারিকুল ইসলামের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় মার্কেট দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন আসামিরা।
মামলার আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন লিটু , ইকবাল হোসেন তিতু , এস এম হানিফ, আসিফ সিকদার, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, টিপু, আহম্মেদ বেপারী, ফরহাদ হোসেন, রঞ্জু, রনি, শাহিন, রতন, কুটি, মনির ওরফে বোম মনির ও হিমেল। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে।
এর মধ্যে লিটু মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ইকবাল হোসেন তিতু মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং এস এম হানিফ মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আসামি আসিফ সিকদার শাহ আলী থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী ও রাজু আহম্মেদ শাহ আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আর শাহাদাত হোসেন মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। মামলার বাকি আসামিরা শাহাদাতের সহযোগী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মামলার আসামিরা মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুলের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় রোববার সন্ধ্যার দিকে শাহিনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে মার্কেটে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মার্কেট দখলের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তরিকুলের ওপর হামলা চালায়। তাকে রক্ষার্থে মার্কেটের পিয়ন নুর ইসলাম এগিয়ে আসলে তার ওপরও হামলা হয়। এরপর মার্কেটে লুটপাট চালায় হামলাকারীরা।
মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ রোমন বলেন, ‘মামলার আসামি আসিফ সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১