খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৫টি আবাসিক হলের তালা ভেঙেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তারা নিজেরাই হলের তালা ভাঙেন।
এর আগে দুপুর ১টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের সামনে গিয়ে শিক্ষকদের তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন শিক্ষার্থীরা; কিন্তু শিক্ষকরা তাতে সাড়া দেননি।
গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় আগামী ২ মে আবাসিক হল এবং ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। গত দুই দিন ধরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কর্তৃপক্ষের নিষেধ উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েটে) ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তবে কর্তৃপক্ষ তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান। ছাত্রদের প্রবেশ ঠেকাতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ নিয়ে কুয়েটে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ‘লং মার্চ টু কুয়েট’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর দায়ের করা মামলার নিন্দা জানিয়ে মার্চ ফর কুয়েট কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যৌক্তিক দাবির পক্ষে আন্দোলন করার অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা ও সুরক্ষা নিশ্চিত থাকা উচিত; কিন্তু কুয়েট উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে স্থানীয় একটি পক্ষকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে- যা গণতান্ত্রিক আদর্শের পরিপন্থি।
তারা আরও বলেন, কুয়েটের উপাচার্যের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রশাসনিক অপব্যবহার ও দমন-নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ওপর যে নিপীড়নের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, তা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা চালানোর সময় সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও উপাচার্যের স্পষ্ট অসহযোগিতা সেই উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায় উপাচার্য এড়াতে পারেন না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার হরণ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলার আশ্রয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা শিক্ষার পরিবেশকে আরও সংকটময় করে তোলে। এ বাস্তবতায় মার্চ ফর কুয়েট কর্মসূচির প্রতি আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা একাত্ম।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১