বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠাতে ভারতের কেন্দ্র সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) তিনজন পুরোহিত গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের মধ্যেই এমন দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যসভার অধিবেশনে মমতা বলেন, “আমাদের প্রস্তাব, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।” গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মমতার এই আহ্বান নতুন মাত্রা যোগ করল। বিধানসভায় মমতা বলেন, “কোনো ধর্ম-বর্ণ বা জাতি, সে যে দেশে যে প্রান্তেরই হোক না কেন, যদি অত্যাচারিত হয় আমরা তার নিন্দা করি। আমরা মনে করি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, তাদের সম্মান তাদের কাছে নিশ্চয়ই আছে। তারা ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক। তাদের শান্তি ফিরে আসুক।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পরিবার পরিজনদের ওপরে যাতে কোনো অত্যাচার না হয় এটা গর্ভনমেন্ট অব ইন্ডিয়ার কাছে আমরা হাউস থেকে আবেদন জানাচ্ছি। দরকার হলে দুই দেশ কথা বলুন। যদি প্রধানমন্ত্রীর কোনো অসুবিধা থাকে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলুন। এক্সর্টারনাল অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার পার্লামেন্টে বিবৃতি দিয়ে দেশবাসীকে জানান যে, তারা কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এইভাবে যদি ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে আমাদের লোকেদের আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। কোনো ভারতীয়র ওপর অত্যাচার হোক এটা আমরা চাই না।”
বিধানসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মমতা বলেন, “আমাদের প্রস্তাব, ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোর আর্জি জানাক। তারা যাতে আমাদের লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করতে পারে।” বাংলাদেশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার “চুপ করে আছে” উল্লেখ করে বিধানসভায় অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ। অথচ তাদের দল (বিজেপি) বলছে ‘সব আটকে দেব’। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই।”
Leave a Reply