1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
Title :
সিট ৪৬০, ঢোকানো হয়েছে সাড়ে ৬০০’র বেশি দর্শক—ক্ষুব্ধ বরবাদ প্রযোজক রাতে ঘরে মিলল স্ত্রীর মরদেহ, দুপুরে স্বামীর মা নিজেই বঁটি দিয়ে দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন : পুলিশ বিসিবিতে দুদকের সেই অভিযান নিয়ে যা বললেন ফারুক ‘ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা সহ্য করলে পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধাতেন পুরুষরা’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিথ্যা মামলায় হয়রানি না করার নির্দেশ পুলিশকে দেওয়া আছে ‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে ফুটবল টুর্নামেন্ট নিকারাগুয়ায় বিরোধীদের দমন-পীড়ন ২৫০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে হতাশ করে জয়ের দিকে এগুচ্ছে পাকিস্তান

প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে যেভাবে ফেঁসে গেলেন কুবি শিক্ষক কাজী আনিছ

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্তরসহ প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগ ওঠেছে।

এ ঘটনায় বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষকের পড়ানো কোর্স মোবাইল জার্নালিজম (এমসিজে ৩০৮) সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই ব্যাচের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ ও মোবাইল জার্নালিজম নামে দুটি কোর্স নিয়েছেন আনিছ। এ ঘটনায় তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

বুধবার (১২ মার্চ) পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান রাহাত।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একটি মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের ব্যক্তিগত ও দৈহিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি তাকে একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর ১ম সেমিস্টারে ৩.৬৯, ২য় সেমিস্টারে ৩.৮৯, ৩য় সেমিস্টারে ৩.৬৩, ৪র্থ সেমিস্টারে  ৩.৮৯ এবং সর্বশেষ ৫ম সেমিস্টারে ৩.৯৪ সিজিপিএ রয়েছে।

ওই ব্যাচের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ পরীক্ষা গত ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই নারী শিক্ষার্থীর কাছে সরবরাহকৃত পিডিএফের মেটাডাটা যাচাই করে দেখা যায় ২ নং প্রশ্নের উত্তরের ফাইলটি তৈরি করা হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৬টা ৪৭ মিনিটে। একই সাথে ৪ নং প্রশ্নের উত্তরের ফাইলটি তৈরি করা হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে।

আইসিটি অ্যান্ড সোসাইটি পরীক্ষাটি গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ওই শিক্ষার্থীর কাছে থাকা পিডিএফ এর মেটাডাটা যাচাই করে দেখা যায় প্রশ্নের ৬ থেকে ১০ নং পর্যন্ত যে প্রশ্ন ছিলো তার হুবহু লিখা পিডিএফ এর ফাইলটি তৈরি করা হয়েছে ২ মার্চ রাত ১১টা ৩ মিনিটে। যা লেনোভো নামে একটি ল্যাপটপ দিয়ে বানানো। জানা যায় কাজী আনিছ যে ল্যাপটপটি ব্যবহার করছেন সেটিও লেনেভো ব্র্যান্ডের।

গত ২ মার্চ অনুষ্ঠিত ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার চুড়ান্ত পরীক্ষা এমসিজে ৩০৫ গুণগত গবেষণা পদ্ধতি কোর্সের ২, ৩, ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের সঙ্গে ওই নারী শিক্ষার্থীর কাছে থাকা উত্তরপত্রগুলোর হুবহু মিল পাওয়া যায়। যার প্রমাণসহ একটি ডকুমেন্ট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে থাকা পিডিএফ ফাইলগুলোরও মেটাডাটা যাচাই করে দেখা যায় সেগুলোও তৈরি করা হয়েছে লেনোভো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপটি দিয়ে।

প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরপত্রের হুবহু মিল থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইসিটি অ্যান্ড সোসাইটি কোর্সের শিক্ষক অমিত দত্ত বলেন, আমি প্রশ্ন করে সেই প্রশ্ন পরীক্ষা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছি। এখানে যদি অনৈতিক কিছু ঘটে থাকে তাহলে পরীক্ষা কমিটির সদস্যরাই সেটি ভালো বলতে পারবে।

ওই ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান জাকিয়া জাহান মুক্তা বলেন, প্রশ্ন যখন মডারেশন হয় তখন পরিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরাও থাকেন। এখানে প্রশ্ন ফাঁস হলে যে কারও কাছ থেকে হতে পারে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকও পরীক্ষা কমিটিতে ছিলেন।

ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, ১ম সেমিস্টার থেকেই কাজী আনিছের সহযোগিতায় এই ওই শিক্ষার্থী বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক কাজী আনিছের সঙ্গে সখ্যতার কারণেই ওই শিক্ষার্থী অভাবনীয় ফলাফল করে প্রথম স্থান অর্জন করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান রাহাত বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত করেছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, আমি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় প্রশ্নের বিষয়ে ধারণা দিয়ে থাকি।  নোটও দিয়ে থাকি। এটাকে কাজে লাগিয়ে কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যেটা ভিত্তিহীন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে একটি উড়ো চিঠি এসেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করব।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে তিনি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের বাহিরে থাকবেন। এছাড়াও এই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

প্রশ্নফাঁস ছাড়াও কাজী আনিছের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে লাঞ্চিত করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি বিভাগীয় প্লানিং কমিটির মিটিংয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেক সহকর্মী মাহমুদুল হাসানকে ‘কুত্তা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। যা তিনি নিজেও স্বীকার করেন।

২০২১ সালের ২৭ জুন আবেদনের যোগ্যতার যথাযথ শর্ত পূরণ না করে আবেদন করায় সেসময় তার পদোন্নতি আটকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০তম সিন্ডিকেট।

এছাড়াও খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় আরেক সহকর্মীকে থাপ্পড় মারতে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট