বাংলাদেশের উদীয়মান বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার অ্যাস্ট্রা আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৩ থেকে ৪টি এয়ারবাস এ৩২০ অথবা এ৩২১ মডেলের বিমান সংগ্রহের প্রস্তাব আহ্বান করে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ড্রাই লিজ, অপারেটিং লিজ কিংবা সরাসরি ক্রয়ের ভিত্তিতে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাস্ট্রার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র নিজস্ব এয়ারক্রাফট থাকা প্রকৃত লিজিং কোম্পানি অথবা এয়ারলাইন্সগুলোকেই এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ব্রোকার বা মধ্যস্থতাকারীদের কোনো প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি তাদের কাছে কোনো ম্যান্ডেট থাকলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়।
এয়ারক্রাফট সরবরাহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত লিংক থেকে আরএফপি (রিক্যুয়েস্ট ফর প্রোপোজাল) ডকুমেন্ট ডাউনলোড করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রস্তাব জমা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২০২২ সালে ফ্লাইট অপারেশন শুরু করা এয়ার অ্যাস্ট্রা ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আন্তর্জাতিক রুটে প্রবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে হাঁটছে।
বাংলাদেশের আকাশপথে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন রুটে নতুন এয়ারলাইন্সের প্রবেশ সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। এয়ার অ্যাস্ট্রার এই সিদ্ধান্ত তাদের বাজারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে সাহায্য করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এয়ারবাস এ৩২০ ও এ৩২১ মডেল দুটি বিশ্বজুড়ে মিড-রেঞ্জ ফ্লাইটের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য। জ্বালানি দক্ষতা ও অপারেশনাল ফ্লেক্সিবিলিটির কারণে এই দুটি মডেল নতুন এয়ারলাইন্স ও এক্সপ্যান্ডিং এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে অন্যতম পছন্দ। এয়ার অ্যাস্ট্রা যদি এই বিমানগুলো সময়মতো সংগ্রহ করতে পারে, তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply