1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

অগ্রগতি ছাড়াই বিমানবন্দরে স্বর্ণ চুরির মামলা পিআইবি থেকে দুদকে

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের লকার থেকে ৬১ কেজি সোনা চুরি বা গায়েবের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি দেড় বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হস্তান্তর করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) মামলাটি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় কাস্টমস বিমানবন্দর থানায় ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা করে। থানা-পুলিশ, ডিবির পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় মামলাটি এখন অনুসন্ধান করবে দুদক।

যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম ওই দায়িত্ব পালন করছেন। পিআইবির মামলাও ওই অনুসন্ধানের সঙ্গে সংযুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক হিসাবে বেহাত হওয়া সোনার পরিমাণ ছিল ৫৫ কেজি। পরিমাণ যাই হোক প্রাথমিক পর্যায়ে কাস্টমস বিভাগের নিম্ন পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তাকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা হলেও এর পেছনে রাঘব-বোয়াল রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাস্টমসের মামলা
বিমানবন্দরের কাস্টমসের লকার থেকে সোনা চুরির ঘটনায় ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় সোনা চুরির ঘটনায় মামলা করেন। যদিও কারো নাম উল্লেখ না করে মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোনা চুরির বিষয়টি ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস গুদাম কর্মকর্তা মাসুদ রানার নজরে আসে। পরবর্তীতে গুদামে রাখা মূল্যবান বস্তু চুরি হয়েছে কি না তা যাচাই করা হয়। যাচাইকালে দেখা যায়, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে আটককৃত ডিএমের (ডিটেনশন মেমো) ৫৫.৫১ কেজি সোনার বার ও অলংকার পাওয়া যাচ্ছে না। চুরি হওয়া সোনার বর্তমান বাজারমূল্য ৪৫ কোটি টাকা।

২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার যার ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হওয়া ৩৮৯টি ডিএম বার, যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি, আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম স্বর্ণ লকারের ভেতরে পাওয়া যায়নি। ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে পর দিন সকাল ৮টা ৩০-এর মধ্যে কে বা কারা বর্ণিত সোনার বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করেছে।
ঢাকা কাস্টমসের করা ফৌজদারি মামলাটি প্রথমে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করেছে। মামলার তদন্তকালে ডিবি মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আকতার শেখ এবং সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও আফজাল হোসেন। তারা বিভিন্ন পর্যায়ে গুদামের দায়িত্ব পালন করতেন। বড় অগ্রগতি ছাড়াই মামলাটি ডিবি থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পিবিআিই দায়িত্ব পাওয়ার পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়া দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েনি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কী ঘটেছিল সেদিন
চুরি হওয়ার দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন শনিবার, ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর। দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে পর দিন সকাল ৮টা ৩০ এর মধ্যে সোনার বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়। সেদিনই বিষয়টি জানাজানি হয়। রোববার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদ রানা শুল্ক বিভাগের একজন যুগ্ম কমিশনারকে চুরির বিষয়টি অবহিত করেন। এমন সংবাদ পেয়ে গুদাম পরিদর্শনে যান ঢাকা শুল্ক বিভাগের কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার। তারা গিয়ে গুদামের একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা দেখেন। গুদামের পূর্বপাশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাতাস যে অংশ দিয়ে বের হয়, সেখানকার টিনের কিছু অংশ কাটাও দেখতে পান। পরে তারা গুদামের দায়িত্বে থাকা চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চারজন সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা হলেন— সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম ও আকতার শেখ এবং চার সিপাহি হলেন— রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদার।

তাদের কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে কী পরিমাণ সোনা ও অন্যান্য পণ্য চুরি হয়েছে তা বের করার জন্য ওই কর্মকর্তারা মৌখিক নির্দেশনা দেন। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করে ঢাকা কাস্টম হাউস। যারা ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর এনবিআরের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট