ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে ২৬ জনকে হত্যার পর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতিকারী। এসবের মধ্যেই গত ২৩ এপ্রিল মধ্যরাতে দেশটির আগ্রাতে এক মুসলিম যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলফাম নামে ওই মুসলিম যুবক আগ্রায় একটি বিরিয়ানির দোকান চালাতেন।
সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জানিয়েছে, ওইদিন রাতে তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে গুলফামকে গুলি করে। ওই সময় দোকান মোছার কাজ করছিল তার চাচাত ভাই সাইফ আলী। ওই দুস্কৃতিকারীরা এসে কোনো কথা না বলেই গুলফামের বুকে গুলি ছোড়ে। সাইফ আলী তখন বেরিয়ে আসলে তার দিকেও গুলি ছোড়া হয়। তবে গুলিটি তার ঘাড়ে লাগায় তিনি বেঁচে যান।
এ ঘটনার একদিন পর হামলাকারী সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সে জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মিরে ২৬ জনকে হত্যার বদলা নিতে ২ হাজার ৬০০ মুসলিমকে হত্যা করবে। ওই হামলাকারী নিজেকে ক্ষত্রিয় গোরক্ষক দলের সদস্য হিসেবেও পরিচয় দেন।
ভিডিও প্রকাশের পর পুলিশ একজনকে আটক করেছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, যাকে আটক করা হয়েছে তাকে ভিডিওতে দেখা গেছে।
নিহত গুলফামের বাড়িতে গিয়েছিলেন দ্য প্রিন্টের সাংবাদিক। তার মা জুবাইদা সাংবাদিককে কাঁদকে কাঁদতে বলেন, “কাশ্মিরের হামলার বদলা যদি তারা নিতে চাইত, তারা গুলফামকে মারধর করতে পারত। তার হাত-পা ভেঙে দিতে পারত। এতে সে অন্তত বেঁচে থাকত।” তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে গুলফামকে বলেছিলেন গরমে তার কষ্ট হয়। এজন্য তার ছেলে ঘরে কুলার কিনে এনেছিল।
পুলিশ দাবি করেছে, ওই হামলাকারী রাজনৈতিক নিরাপত্তা পেতে এখন নিজেকে ক্ষত্রিয় গোরক্ষক দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।
এ ঘটনার পর গুলফামের চাচাত ভাই সাইফ আলী বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে হামলাকারী ২ হাজার ৬০০ মুসলিমকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি।
সূত্র: দ্য প্রিন্ট
Leave a Reply