সেই এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপির একটি সভায় মিঠুনের উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হয়েছে।
ওই বক্তব্যে মিঠুন আরও বলেন, ‘বারবার বলছি, যা করতে হয় সব করব। এমন সদস্য চাই, যারা বুক চিতিয়ে বলবেন, মার! কত গুলি আছে দেখি! এমন কর্মী চাই না, যারা টাকা নিয়ে কাজ করেন। এমন করলে আপনারা তৃণমূলে চলে যান। আমি বলে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের বাগানের একটা ফল যদি ছিঁড়েন, আমরা চারটা ছিঁড়ব। এটা সত্যি। নইলে জিততে পারব না।’
নিজের দেয়া বক্তব্যে মিঠুন আরও বলেন, ‘এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সী মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
উল্লেখ্য, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তার আক্রমণাত্মক বক্তব্যের জন্য সুপরিচিত। কিছুদিন আগে থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এরপর ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সরাসরি দোষ চাপান পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসনের ওপর। সেসময় তিনি ঝাড়খণ্ডে নারী নির্যাতনকারী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো ঝুলিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারিও দেন।
Leave a Reply